রেইনবো আর্টিস্ট অ্যান্ড রাইটারস্ ফাউন্ডেশন ( সংক্ষেপে ‘র’ ফাউন্ডেশন ২০০২) একটি অব্যবসায়িক শিল্প ও সাহিত্যের সংগঠন। গত ১২ বছর সংগঠনের সাধ্যমত শিল্প ও সাহিত্যের সেবা করে আসছে।
কলর এন্ড ওয়ার্ডস আমাদের চতুর্দশতম আটজন শিল্পীর সম্মেলক ছবির প্রদর্শনী ও নবীন প্রবীন কবিদের সাহিত্যানুষ্ঠান। সূচনা করবেন বিশিষ্ট ও বিদগ্ধ জনেরা। তাদের মধ্যে আছেন সুপরিচিত শিল্পসমালোচক প্রশান্ত দাঁ, কবি সুবোধ সরকার, বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক রুপক সাহা, কবি অরুণ চক্রবর্তী, আরো অনেকে।
চিত্রকরদের মধ্যে সমরেন্দ্র দত্ত প্রবীন ও যশস্বী শিল্পী, থাকেন বর্ধমানে। দীর্ঘদিন ধরে ছবি আঁকছেন। তার ছবিতে আমরা দেখি প্রকৃতি, মোলায়েম সবুজ ও নীল রঙের অধিক ব্যবহার। রাধাকৃষ্ণের অনন্ত প্রেমের মূর্চ্ছনা।
ডাঃ নবোদয় পাল, পেশায় ডাক্তার,কলকাতায় থাকেন। কিন্তু তার উন্মাদনা ছবি। তিনি মানূষের অচেতন মনের সুপ্ত বাসনাকে ছবির মাধ্যমে ধরতে চান। তার ছবিতে আমরা দেখি লোহিত বর্ণের কূয়াশায় মানূষের নগ্ন শরীর। কখনো ব্যঙ্গাত্মক, কখনো বিভৎস। দানবের মতো হাঁ করে গিলতে আসা ভূত কঙ্কাল।
অমিতাভ চ্যাটার্জী ইকনমিকসে অনার্স গ্রাজুয়েট। থাকেন ধানবাদে। ছবি তার উচ্ছ্বাস ও আবেগ। তিনি প্রকৃতি পূজারী আরো সঠিক করে বললে আপনি দেখবেন তার বিমূর্ত ছবিতে রঙের আহ্লাদ। সবুজ হলুদ অনুচ্চ রঙ, কখনো চড়া নয়। নয়নাভিরাম।
পবন রায় ইন্ডিয়ান কলেজ অব আর্টস এন্ড ড্রাফটম্যানশিপ থেকে আপ্লাইড আর্টস এর স্নাতক। তিনি ভাস্কর্য, বুনন শিল্প যাকে আমরা বলি টেক্সটাইল, ইন্টিরিয়র ডেকুরেশন ইত্যাদির ট্রেনিং ও নিয়েছেন। থাকেন দেওঘর, ঝাড়খন্ডে। তার ছবিতে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে, মূলতঃ আদিবাসীদের স্থানীয় শিল্প বা লোকশিল্পের প্রভাব থাকে।
আশিষ নন্দী প্রবীন শিল্পী, ছবি ছাড়া, ফটোগ্রাফি, ক্লে মডেলিং এবং লেখালেখি করেন। থাকেন পুরুলিয়ায়। তার ছবিতে পৌরাণিক কাহিনীর বিশিষ্ট চরিত্র ও লোকশিল্পের মিশ্রন দেখা যায়। তিনি দীর্ঘদিন ছবি আঁকছেন।
ড.অভিজিৎ রায়চৌধুরী বিশ্বভারতী কলাভবনের ছাত্র। পেশায় শিল্পী ও শিল্পশিক্ষক। থাকেন ফারাক্কা মুর্শিদাবাদে। তার ছবিতে আমরা দেখি একটি বা একাধিক টিকটিকি ঘুরে বেড়ায়। বর্তমান সমাজের সাথে যে টিকটিকির বিবর্তনের ছায়া নেই তারই একটি ভাবনা ঘুরে বেড়ায়। তাহলে কি তিনি বলতে চাইছেন আমাদের সমাজটার বিবর্তন হোক? না আমাদের সমাজের বিবর্তন হচ্ছেনা?
অমৃতা রায়চৌধুরী ইংরেজীতে মাস্টার ডিগ্রী করেছেন।থাকেন ফারাক্কা, মুর্শিদাবাদে। তার ছবি আঁকা নেশার মতো। মগ্ন হয়ে বাস্তব রীতিতে ছবি আঁকেন। তিনি নবীন চিত্রকর।
গৌতম সাউ মাস্টার ডিগ্রী করেছেন। ছবি নিয়ে তার পড়াশুনা। থাকেন দুবরাজপুর, পঃ মেদিনীপুর। প্রকৃতি ভালবাসেন। তার ছবিতে নির্জনতা, নৈশব্দতা উঠে আসে। স্নিগ্ধ রঙ ব্যবহার করতে ভালবাসেন। তিনি নবীন শিল্পী ইতিমধ্যে তার বাউলের ছবি বিভিন্ন মানুষের সংগ্রহে পৌছেছে।
৪নভেম্বর এই গ্যালারীতেই কবিতা গান আলোচনার আয়োজন। সমকালীন কবিরা তাতে অংশ নেন।
অ্যালবার্ট অশোক এই প্রদর্শনীর কিউরেটর। ফোন ৯৩৩০৮৫৮৫৩৬।
১৬০এ বিধান পল্লী, পি ইউ সি ক্লাব। কল- ৮৪