Sunday, June 11, 2017

চারুকলা নির্মাণঃ ছবির পড়াশুনা

চারুকলা নির্মাণঃ ছবির পড়াশুনা
 চারুকলা নির্মাণঃ ছবির পড়াশুনা।
টিউটোরিয়ালঃ চারুকলা নির্মান বা ছবির পড়াশুনা।
চারুকলা নির্মাণ বা ছবির পড়াশুনা বইটি ছবি ও ভাস্কর্য এর ছাত্রছাত্রী, শিল্পী বা সাধারণ মানুষেরা সংগ্রহ করছেন, কলেজ স্ট্রিট থেকে বা অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সামনে ভাস্করের পানের দোকান থেকে, সবাই কে ধন্যবাদ জানাই। এই রকম ছবি ও ভাস্কর্যের বই ভারতীয় কোন প্রকাশনায় নেই। এটা সংক্ষিপ্ত সারা পৃথিবীর আদিম শিল্প ও সংস্কৃতি তথ্য সংবলিত চারুকলা কি বা তার নির্মাণ কেমন তারই সুলুক সন্ধান। সীমিত কপি মুদ্রণ, আমার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও প্রকাশিকার দায় অনুভব করে করা। যারা সংগ্রহ করেননি নিকট বর্তী বইয়ের দোকানে বলে সংগ্রহ করুন। ১৭০ এর অধিক ছবি, ৩২ পাতার, ৭ বাই ৯ ইঞ্চি আকৃতি, ১৩০ জি এস এম আর্ট পেপারে রঙ্গীন ছাপা, ১৫০ টাকা দাম মাত্র। আপনি আর্ট কলেজে পড়ুন আর পন্ডিত হোন- ছবি ও ভাস্কর্য জানতে এরকম সংক্ষিপ্ত ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না কিনলে আক্ষেপ করবেন।চারুকলা কী ও তার নির্মান জানতে বইটা কি ভাবে ব্যবহার করবেনঃ

১। আপনি ছবি ও ভাস্কর্য সম্পর্কে আগে যা জানতেন তা ভুলে শূন্যে আসুন। শূন্য থেকে প্রস্তুতি নিন। মনে করুন ছয় ঘন্টার একটা ক্লাশে আছেন।
২। বইটা তিনবার গভীর মনযোগ দিয়ে পড়ুন, আমি যা বলতে চেয়েছি তা বোঝার চেষ্টা করুন, ছবিগুলির পটভূমিকা ও আকৃতি ও নির্মাণ সম্পর্কে যতটুকু তথ্য আছে ততটুকু দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন।
৩। সবগুলি ছবি আপনি আবার আপনার ক্ষমতায়, ভাবনায় নকল করে বানান। ছবি ও ভাস্কর্য সমেত। পেন্সিল, চারকোল, কালি কলম, রং তুলি আর ড্রয়িং খাতায়।  সহজলভ্য যা দিয়ে আপনি কপি করতে পারবেন। যততুকু সম্ভব বড় বড় করে এ থ্রি কাগজের সাইজে ছবিগুলি অভ্যাস করুন। 


১ বছর পর আপনি বুঝতে পারবেন যা স্কুল কলেজ আপনাকে বোঝাতে পারেনি আপনি তা উপার্জন করেছেন। শুভ কামনা।





প্রতিবছর আর্ট কলেজ গুলি থেকে এত এত ছাত্রছাত্রী পাশ করে বের হয়। এত এত, হাজারে হাজারে রবিবারের আঁকার স্কুল। , কিন্তু আর্ট নিয়ে সমাজে কয়জন আসে? তারপরও এতগুলি গ্যালারী, ব্যক্তিগত, সরকারী বেসরকারী, রাজ্যে রাজ্যে। চর্চা তো কম হচ্ছেনা। তো শিল্পিরা কোথায় লুকাচ্ছে? হাওয়াতে কান পাতলে শোনা যায়, ছবি বিক্রী হচ্ছেনা। তাই অনেকে ছবি আঁকা ছেড়ে দিচ্ছেন। ভাড়ার উপর নির্ভরশীল অনেক গ্যালারী বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে কলেজে পড়ার সুযোগ না পেয়ে, এখানে দুদিন ওখানে দুদিন, এই শিল্পীর সাথে গল্প করে, ঐ শিল্পীকে ফেসবুকে জিজ্ঞেস করে অনেক নিজের ভাবনা দিয়ে স্বশিক্ষিত শিল্পী হয়ে উঠেন। হয়ত পাড়াতে দু একজন আছেন, রবিবার করে ঘন্টা খানেক ছবির নামে সময় কাটান, আর গুগল সার্চ করে কিছু কপি করে বন্ধুদের তাক্‌ লাগিয়ে দিতে চান। তাদের ছবি দু একটা যে বিক্রী হয়না তা নয়। বিক্রী হয়। ওই সারা জীবনে দু একটা। পাঁচ/ সাতশ টাকা করে বড়জোর পাঁচ হাজার টাকায়। কিন্তু এটা একটা স্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি নয়। পেশায় আসার আগে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। যোগ্যতার জন্য চাই অনেক তথ্য ও অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা আসে প্রায়োগিক পরীক্ষা নীরিক্ষার মধ্য দিয়ে। তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষকের প্রতিটি কাজকর্ম স্বচক্ষে দেখা। ও নিজে নিজে যাচাই করা। ফাঁকি দিয়ে আর বিনে পয়সায় কিছু অর্জন করাও লজ্জার।
ছবি আঁকা শুধু যা দেখলাম তা আঁকলাম এটা নয়। যুগে যুগে শিল্পীরা কি করেছে তখন জরুরী হয়ে পড়ে। পড়তে হয় শিল্প আন্দোলনের ইতিহাস, মাস্টার পেইন্টারদের বিখ্যাত হয়ে ঊঠার পশ্চাৎ কাহিনী। না পড়লে, না দেখলে সারাজীবন স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।
স্বশিক্ষিত! কানে আসা মাত্রেই শ্রোতা বুঝে নেন, শিল্পী কোন স্তরে অবস্থান করেন। শিল্পী কিন্তু ভাবছেন তিনি বাহাদুরি ক্লরে ফেললেন! তিনি নিজে নিজে এত্তবড় হয়েছেন।
যুক্তি কি বলে? আজকের দিনে শিল্প সাহিত্য কারোর অধীনে, ও কলেজে না পড়াশুনা করে শেখা যায়? তাহলে বুঝতে হবে শিল্প সাহিত্য তুচ্ছ কিছু বাচ্চাদের খেলনা। সাধারণ মানুষ সবাই পারে। কিন্তু তা তো নয়!। আজকের দিনেও নতুন শিল্পীর ছবি বেচাকেনা হয় লাখ লাখ টাকায়। লাখ টাকায় তো সাধারণ ছবি বিক্রী হয়না। অসাধারণ ছবিই বিক্রী হয়। অসাধারণ ছবি তৈরির জন্য অসাধারণ মস্তিষ্ক লাগে। অসাধারণ দক্ষতা লাগে। স্বশিক্ষিতেরা ঐ স্তরে যেতে পারেনা। স্বশিক্ষিতদের অনেকেই সততা রাখেননা। প্রতি মুহূর্তে শিক্ষা কালে তার মনে হয় এই বুঝি তিনি সব শিখে ফেলেছেন।
এরকম কিছু সমস্যা নিয়ে যারা আক্রান্ত তাদের এই বইটি চোখ খুলে দেবে। বিক্রী হোক আর না হোক আপনি ছবি আঁকেন আপনার মনকে প্রকাশ করার জন্য। এ এক অপার শান্তি। আপনার সৃষ্টি। তাকে দামি করে তুলতে হলে আপনাকে যোগ্য করে তুলুন। শিল্প সাহিত্য ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ারদের মতনই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার হতে গেলে আপনাকে কেমন পড়াশুনা করতে হয়! কতটাকা খরচ হয়? যারা পারে তাদের ব্রাশ আর ক্যানভাস কিন্তু আপনার মতন নয়।

বইটা আপনি কেন কিনবেন?

১। যারা ছবি আঁকার আকাডেমিক ফাউন্ডেশন নেই তারা ইউরোপ আমেরিকার শিল্প আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ধারণা পাবেন। অতীতের অনেক কাজ নতুন করে আপনি রি-ডিফাইন বা নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন। যেমন ধরুণ – কিউবিজম, ঘনক বাদ। তখন শিল্পীরা কি করত আজকে কিউবিজম নতুন করে যারা করছে তারা কি করছে?
২। আর্ট কলেজে পড়ছেন বা পাশ করে বেরিয়ে গেছেন, চোখে নতুন সৃষ্টির সন্ধানে উদ্‌গ্রীব তারা এখনো জানেননা পৃথিবীর অন্যান্য রাজ্যগুলিতে ভিন্ন সংস্কৃতির শিল্পীরা কিরকম কাজ করছেন। কারন, তা পূস্তক আকারে আপনার কাছে আসেনি, খবর হয়ে আপনার টিভিতে বা খবরের পাতায় আসেনি। অন্য প্রান্তকে জানা সৃজনশীল কাজের জন্য আবশ্যিক বিষয়।
৩।ছবি আঁকার জন্য, ক) নিত্য নতুন ভাবনা চাই, খ) আঙ্গিক, বুনট বা টেক্সচার, রূপকল্প, গ) পটে বিষয়ের উপস্থাপনা, ঘ) সামগ্রিক বিষয়টার সাথে সমকালীন সম্পর্ক, ঙ) ভাবনার সাথে সামগ্রিক করণ কৌশলে সমকক্ষ হল কিনা, শিল্পতে উত্তরিত হল কিনা না, খবরের কাগজের অলঙ্করন বা আলোকচিত্র মাত্র – এগুলি জড়িত। এগুলির জন্য আপনাকে একজন শিক্ষক/ গুরু/ মেন্টর এর নিকট সান্নিধ্য ছাড়া আপনার কয়েকযুগ লেগে যাবে। এই বইটি সংখ্যাগুলি প্রায়োগিক দিকগুলিও আলোকপাত করবে।
প্রত্যেক সংখ্যায় ভিন্ন রাস্ট্রের শিল্পের ও শিল্পীর অজানা তথ্য, উল্লেখযোগ্য শিল্পীর কথা, আন্তর্জাতিক আলোক পাত। ছবি ও ভাস্কর্য পৃথিবীর এই দশকের আলোড়নকারী শিল্পকর্ম ইত্যাদি থাকবে। এটা একটা হ্যান্ডবুক বন্ধু, ছাত্রছাত্রীদের ও নিজস্ব পরিচিত কয়েকজনের চর্চা বা অনুশীলনের জন্য সীমিত সংখ্যায় প্রকাশ  হচ্ছে।


চারুকলা বা ফাইন আর্টস এ আপনার ছবি  বা ভাস্কর্য উন্নত করতে গেলে আপনার যেদিকে খেয়াল বা  নিজেকে প্রস্তুত রাখা দরকার তা হলঃ
১। শিল্পের বা ছবি বা ভাস্কর্যের অতীত ইতিহাস জানা।
২। আধুনিক পৃথিবীর শিল্পসংক্রান্ত কাজকর্ম সম্পর্কে অববহিত থাকা। শিল্পের সংজ্ঞা বর্তমানে কিভাবে সংগায়িত হচ্ছে, তার ভিত্তিমূলক ভাবনা ও দর্শন  জানা।
৩। কারিগরি বিদ্যা, কলাকৌশল জাতীয়, ও নির্মাণের বৈচিত্রতা। নানা পরীক্ষানিরীক্ষা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা। উপস্থাপনা।
৪। পৃথিবীর বড় বড় নীলামে উঠা কোটি কোটি টাকা মূল্যের শিল্পসামগ্রীর তুচ্ছাতিতুচ্ছ অবস্থা থেকে কি করে মহার্ঘ হয়ে উঠার কাহিনী আপনার অনুসন্ধান দরকার। অমূল্য শিল্প হয়ে উঠার কাহিনী ও চারুকলার মূল্যবোধ গুলি কখন কিভাবে কেন ইতিহাস সৃষ্টি করে তার নেপথ্য জানা দরকার।
 ৫।সমকালীন পৃথিবীর নানা প্রান্তে এক্ষুনি যারা ছবি করছেন , ভাস্কর্য রচনা করছেন বিখ্যাত হয়েছেন তাদের জীবন ও কর্ম জানা দরকার। জানা দরকার তাদের মত আপনি কি করতে পারেন ও কি করা উচিত।

এগুলি আপনার পড়াশুনা থাকলে আপনি আপনার নিজের  শিল্পকর্মকে মহান করে সৃষ্টি করতে পারবেন।
চারুকলা নির্মাণ -এ আমি এইভাবেই  পাঁচটি খন্ড ভেবেছি। আপনাকে পাঁচটি খন্ড সংগ্রহ করতেই হবে।


আমার 'চারুকলা নির্মাণ' বা 'ছবির পড়াশুনা' বইটিতে আমি পরিমিত তথ্য দিয়েছি ও ফাইন আর্টস সম্পর্কে সাধারণের বোঝার জন্য যতটুকু প্রয়োজন তততটুকু দিয়েছি। আদিম চিত্রকলার ছবি দিয়েছি প্রচুর। যেসব ছবি দেখে পিকাশো, মদিগ্লিয়ানি, হেনরি মুর ও অনেক শিল্পী এক শিল্প আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তাদের মতো  করে সেই সব বিষয় বস্তু রাখা আছে। বক্তব্যে ভারাক্রান্ত করিনি যাতে আপনি আপনার মত শিল্প তৈরিতে সার্থক হন। ১৫০ টাকা আজকের দিনে কিছু নয়। কিন্তু আপনার শিল্পীজীবনকে একটা চমৎকার এনে দিতে পারে এই বইটি।  বইটি কিনে ব্যবহার করুন। নরুনে সন্ধান করে সৃজনশীল হয়ে উঠুন। ফাইন আর্টসের সারবত্তা  আছে এই বইয়ে।

পশ্চিমবঙ্গে -দূরের ছাত্রছাত্রী যারা চারুকলা নির্মাণ কিনতে চান--এককপি নিলে ১৫০/ + কুরিয়ের চার্জ ডিটিডিসিতে ১০০ টাকা =মোট ২৫০ পড়বে। আপনি আমার অ্যাকাউন্টে ২০০ টাকা জমা করুন, পেমেন্ট স্লিপ টা এখানে পাঠিয়ে দিন আমি ডিটিডিসি তে  পাঠিয়ে দেব। ২দিনে পেয়ে যাবেন।  যোগাযোগ ৯৩৩০৮৫৮৫৩৬   দেবেন।

পাওয়া যাবেঃ কলেজস্ট্রিট এলাকাতে - টেমার লেনের মুখে পাতিরামের শ্যামল দার সাময়িক প্ত্রপত্রিকার স্টলে।  দেজে (দে বুক স্টোর, বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রিট -এ) অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে মুক্ত মঞ্চের সামনে ভাস্করের পানের দোকানে। 'চারুকলা নির্মাণ' বইটা আমাদের ঠিকানায় এসে সংগ্রহ করতে পারেন। ১ কপি ১৫০ টাকায়। কুরিয়ারে সংগ্রহ করলে কলকাতার মধ্যে ১ কপি ২০০ টাকা। অন্য  কোথাও হলে ১ কপি ১৫০টাকা + কুরিয়ার চার্জ লাগবে। যারা সংগ্রহ করতে চান  আপনার নিকট বইয়ের দোকানে বলে রাখুন। সীমিত সংখ্যা মুদ্রণ হয়েছে। ৩ কপি একসাথে কিনুন, কাউকে উপহার দিন, আমরা  ডিটিডিসি কুরিয়ার করে বই পাঠিয়ে দেব। ১০ কপি নিলে৩০ শতাংশ ছাড় দেব। সমস্ত যোগাযোগ ১৬০ এ বিধান পল্লী, গড়িয়া, নাকতলা, কলকাতা-৮৪। মোবাইলঃ  ৯৩৩০৮৫৮৫৩৬।


contact FaceBook  / or 9330858536  160A Bidhan Pally Kol 84.(JoraPark, PUC, Garia)


No comments: